FOCUS BANGLA NEWS

ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

​বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে

আপলোড সময় : ০৬-১২-২০২৪ ০৩:৩৬:২০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-১২-২০২৪ ০৩:৩৬:২০ অপরাহ্ন
​বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে ফাইল ছবি

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট বেড়েছে। ভোজ্য তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো বাজারে বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। আর বোতালজাত তেল না পেয়ে বাড়তি দরে খোলা সয়াবিন কিনতে হচ্ছে তাদের। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে রমজানে ক্রেতাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে কোম্পানিগুলো বাজারে ঠিকমতো তেল দিচ্ছে না। এখন হাতে গোনা দু-তিনটি কম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।
বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ ঠিক আছে। তবে খোলা সয়াবিন তেল আগের চেয়ে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, এখন দু-একটি কোম্পানি সয়াবিন তেলের বোতল দোকানগুলোতে দিলেও তারা তেলের সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য ধরিয়ে দিচ্ছে।
অন্যান্য পণ্য না নিলে সয়াবিন তেলের বোতল দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন খুচরা বিক্রেতারা।
রাজধানীর বাড্ডার মুদি দোকানদার আব্দুল গণি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে বেশির ভাগ কম্পানি তেল সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে। এই সুযোগে দু-একটি কম্পানি স্বল্প পরিমাণে বোতালজাত তেল দিলেও তার সঙ্গে আটা, লবণ, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্য নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এসব কারণে বাজারের সব বিক্রেতাই কোম্পানিগুলোর প্রতি বিরক্ত হয়ে আছে।’
এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খোলা পাম অয়েল ১৬০-১৬২ এবং সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা লিটার। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি ও ডিলার তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ কার্টন চেয়ে মিলছে একটি। তেল কেনার জন্য আটা-ময়দার বস্তা কেনার শর্তজুড়ে দিচ্ছেন। অবশ্য ডিলারদের ভাষ্য, অনেক কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। যারা উৎপাদনে আছে, বিশ্ববাজারে দর বাড়ার কারণে তারাও সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
আমদানিকারক ও বাজারজাতকারীরা বলছেন, বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১২-১৩ টাকা বাড়ার কথা। সরকার দুই দফায় শুল্ককর কমানোর কারণে স্থানীয় পর্যায়ে দর বাড়ানো হয়নি। আগের দরে বিক্রি করে মিলারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো। এ পরিস্থিতিতে মিলাররা বর্তমান উৎপাদন খরচ বিবেচনায় যৌক্তিকভাব দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন।
তবে ভোক্তা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এগুলো ব্যবসায়ীদের খোঁড়া যুক্তি। বর্তমানে যে তেল বিক্রি হচ্ছে, তা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। তখন বিশ্ববাজারে দর কম ছিল। এখন বিশ্ববাজার বাড়লেও সে তেল আমদানি করে পরিশোধনের পর বাজারে আসতে অন্তত দুই মাস লাগবে।
ভোজ্য তেলের সংকটের বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও ভোজ্য তেল সরবরাহকারী কম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এখনই যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এবারের রমজানে পরিস্থিতি আরো অস্বস্তিকর হতে পারে।’

ফোকাস বাংলা নিউজ/প্রতিবেদক/এস খান


কমেন্ট বক্স

সংবাদচিত্রের আরো সংখ্যা

সর্বশেষ সংবাদ