বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ১১ মাস চলে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। আমরা আশাবাদী। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সত্যি সত্যি এই সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে নির্বাচন দিতে আগ্রহী। এই বিশ্বাস আমরা ধরে রাখতে চাই।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়, স্বৈরাচারের দোসররা সারাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে ৫ আগস্টের ঐক্যকে বিনষ্ট করা যাবে না।
ডা. জাহিদ বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সারাটা জীবন তিনি উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই মানুষটি অসুস্থ, তাকে নিয়েও ব্যঙ্গ করতে অনেকে কুণ্ঠাবোধ করলেন না। রাজনীতি করেন, রাজনীতির শিষ্ঠাচার ভুলে গেলেন? রাজনীতির ভাষা ভুলে পরশ্রীকাতরতায় নেমে পড়লেন। এটা আর যাই হোক রাজনীতির ভাষা নয়, এটা স্বৈরাচারের ভাষা। স্বৈরাচারের শিখিয়ে দেওয়া বুলি। এটি দেশের মানুষ মানে না।
তিনি বলেন, কিন্তু দেখেন পরের কয়েকদিনের মধ্যে গোপালগঞ্জে কী ঘটনা ঘটলো? আমরা বার বার বলছিলাম, ঐক্য দুর্বল করবেন না। স্বৈরাচার কিন্তু আমার আপনার চতুর্দিকে ঘুর ঘুর করছে। তাদের হাতে কিন্তু লুটের অর্থ আছে এবং লাইসেন্স ও বিনা লাইসেন্সের প্রচুর অস্ত্র আছে। তার বহিঃপ্রকাশ তারা গোপালগঞ্জে ঘটিয়েছে। আমরা তীব্র ভাষায় এটার প্রতিবাদ করি। অন্যয়কারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা সরকারকে বলি।
ডা. জাহিদ বলেন, আমরা বিগত ১০ মাস ধরে একই জিনিস বলি। আর সরকার আর সরকারের বভিন্ন সংস্থা কী দায়িত্ব পালন করছেন। এখন যদি সরকার বলে গোয়েন্দ তথ্য ছিল না, তাহলে সেটা কোন দিকে যায়?
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, ষড়যন্ত্র করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেন নাই। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্রের পথ থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে কেউ কেউ আগামীতে চোরাপথে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করছেন, সেটাও ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ হতে দেবে না।
ফোকাস বাংলা নিউজ/এসকে