ফোকাস বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে শীর্ষ বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়েছে। তবে এই বৈঠক সামনাসামনি হচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনাটি হচ্ছে ভার্চ্যুয়ালি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই বৈঠকে যুক্ত হয়েছেন। আর নরেন্দ্র মোদি তাঁর দপ্তর থেকে যুক্ত হয়েছেন বৈঠকে।
এর আগে আজ সকালে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ সাত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
আজ শুরুতেই বক্তব্য দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। পরে চিলাহাটি–হলদিবাড়ি রেলসংযোগ চালুর ঘোষণা হয়।
ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই সরকারপ্রধানের বৈঠকে করোনা-পরবর্তী সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ দুই নিকট-প্রতিবেশীর সম্পর্কের নানা দিক আলোচনায় আসবে।
বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের যতগুলো বড় ইস্যু আছে, সব ইস্যুই আমরা বৈঠকে তুলব। পানি সমস্যা, সীমান্তে অনিশ্চয়তাসহ সব কটি ইস্যুই তুলে ধরব।’ এই শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে।