
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা পনেরো বছরে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সেবাখাতে এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে। সেবা খাতে ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হচ্ছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।
এছাড়া একই বছর সার্বিকভাবে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে খানাগুলো পাঁচ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ তথা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকিং খাতে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত ‘সেবাখাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ ২০০৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
টিআইবি জানায়, গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নাগরিক সেবা নিতে মোট এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।
দেশে পাসপোর্ট, ভূমি এবং বিচারিকসহ নাগরিক নানা সেবা নিতে ২০২৩ সালে প্রতিটি পরিবার গড়ে ঘুষ দিয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮০ টাকা। দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেবা নিতে যাওয়া ৮২ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিতে হয়েছে।
শুধুমাত্র বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষকে গড়ে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও জানায় টিআইবি। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, জরিপে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাদের দুর্নীতি রোধ করার কথা তারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছেন। যে কারণে দুর্নীতি কমছে না। গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার। পাসপোর্ট খাত সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত পাঁচ সেবা খাতের মধ্যে শীর্ষে ছিল পাসপোর্ট খাত। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ।
ফোকাস বাংলা নিউজ/প্রতিবেদক/এস খান
এছাড়া একই বছর সার্বিকভাবে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে খানাগুলো পাঁচ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ তথা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকিং খাতে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত ‘সেবাখাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ ২০০৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
টিআইবি জানায়, গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নাগরিক সেবা নিতে মোট এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।
দেশে পাসপোর্ট, ভূমি এবং বিচারিকসহ নাগরিক নানা সেবা নিতে ২০২৩ সালে প্রতিটি পরিবার গড়ে ঘুষ দিয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮০ টাকা। দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেবা নিতে যাওয়া ৮২ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিতে হয়েছে।
শুধুমাত্র বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষকে গড়ে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও জানায় টিআইবি। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, জরিপে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাদের দুর্নীতি রোধ করার কথা তারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছেন। যে কারণে দুর্নীতি কমছে না। গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার। পাসপোর্ট খাত সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত পাঁচ সেবা খাতের মধ্যে শীর্ষে ছিল পাসপোর্ট খাত। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ।
ফোকাস বাংলা নিউজ/প্রতিবেদক/এস খান